নবান্নের কাছে চাকরিপ্রার্থীদের শর্তসাপেক্ষে ধর্নার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নবান্নের কাছে ধর্না দিতে পারবেন গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চের সদস্যেরা। শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে এই অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর এই মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, শহরের কোথায় কোথায় ধর্না দেওয়া যাবে বা কোথায় যাবে না, তা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত রাজ্য সরকারের। পাশাপাশি, নির্দেশিকা (গাইডলাইন)-ও প্রকাশ করা উচিত।
চাকরির দাবিতে নবান্নের কাছের বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দিতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। আগামী ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর তারা ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়েছিল। শুক্রবার বিচারপতি ঘোষ শর্তসাপেক্ষে সেই ধর্নায় বসার অনুমতি দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের। ধর্নার স্থানবদল এবং দিন কমিয়ে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, নবান্ন বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে ধর্না দিতে হবে মন্দিরতলা বাস স্ট্যান্ডে। ১১ এবং ১২ নভেম্বর করতে হবে অবস্থান বিক্ষোভ। ধর্না শেষে পাঁচ জন নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। এই মামলাতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘শহরের কোথায় কোথায় ধর্না দেওয়া যাবে, কোথায় যাবে না, এটা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত রাজ্য সরকারের। পাশাপাশি, নির্দেশিকা বানিয়ে রাখা উচিত সরকারের।’’
নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দেওয়ার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। তার পরেই তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, নবান্নের বাস স্ট্যান্ডে রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না। বিচারপতির তখন পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীরা রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাঁরা অবস্থান করতে চাইছেন, যাতে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই পুলিশের। রাজ্যের তরফে এর পর জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দিতে বারণ করা হচ্ছে। অন্য জায়গায় ধর্না দিতে পারে গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। এর পরেই আদালত শর্তসাপেক্ষে ধর্না দেওয়ার অনুমতি দেয় ওই সংগঠনের সদস্যদের। তা নিয়ে পর্যবেক্ষণের কথাও জানান বিচারপতি।