—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ দেশে গরুকে ভগবান বলে পুজো করা হয়। তাই গোহত্যা হলে কিংবা গরুর উপর কোনও অত্যাচার হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না। একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল গুজরাত হাই কোর্ট।
বয়স হলে অনেক গরুকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দিনে দিনে এই সংখ্যাটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তাঘাটে গরুর জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে— এমনই কিছু যুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রী এবং বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা-ঘাটে মৃত গরু পড়ে থাকা ঠিক নয়। বস্তুত, কিছু দিন আগে খেড়া জেলায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই উদাহরণ টেনে গুজরাত হাই কোর্ট বলে, ‘‘এ জন্য ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না। মানুষের ‘আরামের’ জন্য প্রাণীহত্যা অপরাধ। বা যেখানে সেখানে তাদের দেহ পড়ে থাকাও ঠিক নয়।’’
মোদীরাজ্যে বয়স হয়ে যাওয়া গরুদের রাখার জন্য গোয়াল আছে। কিন্তু সেখানে দিনে দিনে এত সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, তাদের রাখাটাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সরকার পক্ষ। এর আগে গুজরাত জুড়ে ‘বিপথগামী’ গবাদি পশুদের আক্রমণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননারও মামলা হয়। সেই আবেদনে রাজ্যে ট্র্যাফিক আইন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে গুজরাত সরকার। কেন গবাদি পশুদের নিয়ে ঠিকঠাক ব্যবস্থা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করে আদালত।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি ছাড়াও ভারতের অনেক রাজ্যেই গোহত্যা নিষিদ্ধ, কোথাও আবার অকেজো গরুকে হত্যা করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, কোথাও গোহত্যা নিষিদ্ধ হলেও গোমাংস খাওয়ায় বিধিনিষেধ নেই।