গুলাম নবি আজাদ, সনিয়া গাঁধী এবং কপিল সিব্বল। ফাইল চিত্র।
সুযোগ এনে দিল পঞ্জাব সঙ্কট। কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ নেতারা ফের সরব হলেন দলের অন্দরে সাংগঠনিক অচলাবস্থা নিয়ে।
ঠিক ১৩ মাস আগে কংগ্রেসের অন্দরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। দাবি তুলেছিলেন, দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের। কিন্তু তা পূরণ হয়নি এখনও। পাশপাশি, ‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা ওই ২৩ জন প্রথম সারির প্রবীণ ও নবীন কংগ্রেস নেতাকে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পঞ্জাব কংগ্রেসে সঙ্কটের প্রেক্ষিতে এ বার ফের মুখ খুলেছেন সেই ‘বিদ্রোহী ২৩’ (গ্রুপ-২৩ বা জি-২৩ নামে যাঁরা পরিচিত ইতিমধ্যেই) –এর কয়েক জন। তাঁদেরই এক জন গুলাম নবি আজাদ ফের পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন সনিয়াকে। সেখানে তাঁর মন্তব্য, ‘কংগ্রেসে এখন কোন নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানি না দলে কে সমস্যাগুলি দেখছেন, কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’’
জি-২৩-এর আর এক সদস্য কপিল সিব্বল বুধবার বলেন, ‘‘আমরা জি-২৩। তার মানে ‘জো হুজুর-২৩’ নই মোটেই। তাই প্রশ্ন তুলে যাবই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ কেন আমাদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।’’ অবিলম্বে দলের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলানোরও দাবি তুলেছেন তিনি।
পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ তথা জি-২৩-এর অন্যতম সদস্য মণীশ তিওয়ারি বুধবার অমরেন্দ্র সিংহকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন! তিনি বলেন, ‘‘অমরেন্দ্র এক জন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পঞ্জাবের এমন অস্থিরতায় খুশি হবে শুধু পাকিস্তান।’’ সরাসরি কারও নাম না-করলেও গুলাম-সিব্বলেরা মূলত রাহুল গাঁধীর দল পরিচালনার পদ্ধতির বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র বুধবার বিজেপি নেতা অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পরে দলে ফের ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে নাম না করে গাঁধী পরিবারকে বিঁধলেও ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের অনেকেই জানিয়েছেন তাঁরা কংগ্রেস ছাড়ছেন না। পাশাপাশি, বিজেপি-কেও নিশানা করেছেন তাঁরা। সিব্বল বুধবার বলেন, ‘‘আমরা দলের আদর্শ ত্যাগ করব না। অন্য কোথাও যাবও না। কংগ্রেসই একমাত্র দল যা এই প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারে। বর্তমান শাসকেরা আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি ধ্বংস করছে।’’