—প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের আযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব। ওই দিন উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নানা ব্যক্তিত্বকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল চার জন শঙ্কারচার্যকেও। কিন্তু তাঁরা ওই দিন উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরের কাজ এখনও শেষ হয়নি। অসমাপ্ত মন্দিরে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা সনাতন ধর্মের বিরোধী।
শঙ্কারচার্য হলেন হিন্দুদের চারটি পীঠস্থান উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ, গুজরাতের দ্বারকা, ওড়িশার পুরীর গোবর্ধনপীঠ এবং কর্নাটকের শ্রীঙ্গেরির প্রধান। জ্যোতিষ পীঠাধিশ্বর স্বামী অবিমুক্তাশ্বরানন্দ বলেন, “সনাতন ধর্মের নিয়ম লঙ্ঘন হওয়ায় হিন্দু ধর্মীয়গুরুরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। অসমাপ্ত মন্দিরে ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হিন্দু ধর্মের বিরোধী।” তিনি আরও বলেন, “তাড়াহুড়ো করার কোনও দরকার ছিল না। মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করেই রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা যেত। অসমাপ্ত মন্দির উদ্বোধন করে দেওয়া ভুল পদক্ষেপ।” স্বামী অবিমুক্তাশ্বরানন্দ আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের মোদী-বিরোধী বলা হতে পারে। তবে আমরা মোদী-বিরোধী নই। কিন্তু ধর্মশাস্ত্রের বিরুদ্ধেও যেতে পারব না।” চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পুরীর গোবর্ধনপীঠের শঙ্কারাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন না।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাত হাজারেরও বেশি জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সিনেমা এবং টেলিভিশনের তারকা, শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা, ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি ধর্মীয় গুরু, পণ্ডিত এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্বোধনের দিন রাম মন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন বক্তৃতা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তদারকিতে অনুষ্ঠানের সমস্ত আয়োজন করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী নাগারা শৈলীর আদলে তৈরি রাম মন্দির কমপ্লেক্সটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৩৮০ ফুট দীর্ঘ, চওড়া ২৫০ ফুট। মন্দিরের কাঠামোতে ২০ ফুট উঁচু মেঝে থাকবে। থাকবে ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি তোরণ।