বিহারে কিশোরকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
বিহারে ১৬ বছরের কিশোরকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। তেষ্টার জলটুকু পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও এক জন অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
ঘটনাটি বিহারের ভোজপুর জেলার বড়কাগাঁও গ্রামের। শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ সেখানে একটি মুদির দোকানে চুরির চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। দোকানের মালিক-সহ আরও চার জন দোকানের কাছে ঘুরঘুর করতে দেখেছিলেন ওই কিশোরকে। অভিযোগ, তাকে চোর বলে সন্দেহ করে মারধর শুরু করেন তাঁরা। রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয় কিশোরকে। দোকানের মালিকের দাবি, তিনি ওই কিশোরকে রাতের অন্ধকারে দোকান ভাঙার চেষ্টা করতে দেখেছেন। তার চুরির মতলব ছিল বলেও অভিযোগ।
মৃতের ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, তার দাদাকে নির্বিচারে মারছিলেন পাঁচ জন মিলে। মার খেতে খেতে দাদার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। সে জল খেতে চাইছিল। কিন্তু তা-ও তাকে দেওয়া হয়নি। মৃতের ভাই চিৎকার করে গ্রামের লোকজনকে জড়ো করেছিল। কিন্তু সকলে মিলে মারধর ঠেকানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। মার খেয়ে কিশোর যখন প্রায় অর্ধমৃত, তখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দোকানের মালিক এবং বাকিরা তার পর পুলিশে খবর দেন। চোর হিসাবে কিশোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে কিশোরকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। এর পরেই মৃতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুদির দোকানের মালিক প্রকাশ শর্মা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অন্য ধৃতেরা হলেন অভিষেক শর্মা, দীপক শর্মা এবং ছোটু শর্মা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এক জন অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। তাঁর সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।