অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আগামী দু’দিনের মধ্যে সরকারি বাসভবন ছাড়ছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। উঠবেন নয়া দিল্লির নতুন বাসভবনে। শুক্রবারই নতুন বাড়িতে পা রাখছেন কেজরী।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পর দিল্লির সিভিল লাইন্স এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেজরীওয়াল। ছাড়ছেন এত দিন যাবৎ পাওয়া যাবতীয় সরকারি সুবিধাও। নিরাপত্তার কথা ভেবে আম আদমি পার্টির নেতারা বারণ করলেও শোনেননি কেজরী। বলেছেন, ‘ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন!’ এ বার জানা গেল, শুক্রবারই সরকারি নিবাস ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আপ-প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সন্ধ্যায় দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন কেজরী। সেই সঙ্গে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ জানিয়ে দেন, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি বাসভবনও ছাড়ছেন কেজরী। এর পরেই কেজরীর জন্য সরকারি বাসভবনের দাবিতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি লিখেছিল আপ। দলের তরফে সাংসদ রাঘব চড্ডা দাবি করেন, ‘‘একটি জাতীয় দলের আহ্বায়ক হিসাবে এই অধিকার তাঁর প্রাপ্য।’’ কারণ, কেজরীর নিরাপত্তার প্রশ্নও রয়েছে। তা ছাড়া, প্রতিটি জাতীয় দলই দিল্লি থেকে কাজ করার জন্য একটি অফিসঘর পায়। দলীয় প্রধানের জন্য একটি বাসভবনও দেওয়া হয়। সেই হিসাবে কেজরীরও সরকারি বাসভবন প্রাপ্য, এমনটাই ছিল আপের যুক্তি।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়ায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ছ’মাস তিহাড় জেলে ছিলেন তিনি। গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে বেরোনোর তিন দিনের মাথায় দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন এই আসনে আর ফিরব না।” কেজরীর ফাঁকা স্থানে আপাতত দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা।