গুজরাতে হড়পা বানে ভয়াবহ পরিস্থিতি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় বিধ্বস্ত উত্তর এবং পশ্চিম ভারত। গুজরাতেও একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। শনিবার ৮ ঘণ্টায় গুজরাতে বৃষ্টি হয়েছে ২১৯ মিলিমিটারের বেশি। দেখা দিয়েছে হড়পা বানও। বর্ষার জলে ডুবে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
দক্ষিণ গুজরাত এবং সৌরাষ্ট্র এলাকায় শনিবার সারা দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সংলগ্ন নদী এবং বাঁধের জল বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। নিচু এলাকাগুলি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্লাবিত শহরাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও।
গুজরাতে শনিবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নভসারি এবং জুনাগড় এলাকা। হড়পা বানের স্রোতে জুনাগড় শহরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে শুরু করে গবাদি পশু, চোখের নিমেষে ভেসে গিয়েছে সব। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কোমরসমান জল ডিঙিয়ে স্রোতের বিপরীতে কোনও রকমে নিরাপদ স্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন মানুষ। একটু অসাবধান হলে জলের স্রোত তাঁদেরও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
নভসারি এলাকায় দু’জন বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন। পরে জানা যায়, সম্পর্কে তাঁরা বাবা এবং ছেলে। বাবাকে উদ্ধার করা গেলেও পুত্রকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সক্রিয়।
বৃষ্টির কারণে নভসারির কাছে মুম্বই-আমদাবাদ জাতীয় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দাদরা ও নগর হাভেলিতে আরও এক পিতা-পুত্র ভেসে গিয়েছেন বলে খবর। তাঁরা গাড়িতে ছিলেন। গাড়িটি বানের জলে ভেসে গেলে ডুবে মৃত্যু হয় দু’জনেরই।
দ্বারকা, ভাবনগর, তাপি, ভারুচ, সুরাত, আমরেলির মতো জেলায় শনিবার অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এলাকায় রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী তিন থেকে চার দিনে বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও সঙ্কট ডেকে আনতে পারে গুজরাতে। ২২ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত গুজরাতের উপকূল এলাকায় মৎস্যজীবীদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।