মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল গুরুগ্রামে। ছবি— পিটিআই।
গত ৪ মে মণিপুরে দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার। ধৃত নাবালক বলে জানা গিয়েছে। দু’মাস পর গত বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপরতা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি হয়েছিল।
গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় মণিপুরে। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, থৌবল জেলায় দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয় এবং অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণেরও। সেই ঘটনার দু’মাস পর, গত বুধবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে ওই ঘটনা স্পষ্ট দেখা যায়। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে হিংসা থামাতে প্রশাসনের ইচ্ছে নিয়ে। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর পুলিশ ‘সক্রিয়তা’ দেখায়নি বলে অভিযোগ।
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিরোধীরা সরাসরি আক্রমণ করে মণিপুরের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের অন্যতম কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। তার পর থেকে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার আরও এক জনের গ্রেফতারির খবর পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে ওই ভিডিয়োকাণ্ডে মণিপুরে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল।
অন্য দিকে, অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছেন সমাজকর্মী অন্না হজারে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালে প্রমুখ। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে চলা জাতিগত হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।