—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক প্যাকেট মিষ্টি। তিন প্যাকেট বিষ। পাঁচটি গ্লাস। একটি চামচ। তার মধ্যে সন্দেহজনক কোনও তরল রাখা ছিল। ঘরে ঢুকেই পুলিশের নজরে পড়ে এই বিষয়গুলি। কিন্তু যে বিষয়টি পুলিশকে স্তম্ভিত করেছে, শুধু তা-ই নয়, যে বিষয়টি রহস্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, সেটি হল, পাঁচ জনের দেহেই জড়ানো ছিল লাল রঙের সুতো। আর এক সুতোতেই জড়ানো ছিল সকলের দেহ। দিল্লির বসন্তকুঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুতে এখন এই সুতোর রহস্যের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
কেন লাল সুতো জড়ানো ছিল সকলের শরীরে? তা হলে কি এর নেপথ্যে কোনও তন্ত্রমন্ত্রের বিষয় রয়েছে? কেনই বা সকলের দেহ এক সুতোতেই জড়ানো ছিল? প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন চার কন্যাকে বিষ খাইয়ে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন হীরালাল শর্মা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিশেষ ভাবে সক্ষম চার কন্যাকে নিয়ে সাংসার চালাতে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে জুড়েছিল আর্থিক অনটন। প্রাথমিক ভাবে এই কারণটি উঠে এলেও এই ঘটনার গভীরে অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর এক বাক্স মিষ্টি নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন হীরালাল। ওই দিন শেষ বার তাঁকে দেখা গিয়েছিল। যে মিষ্টির প্যাকেট সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হীরালালের ঘর থেকে সেই একই রকম প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যেকটি টুকরো টুকরো সূত্র একত্রিত করছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে গোটা ঘটনাটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হীরালাল স্থানীয় কোনও দোকান থেকে বিষ কেনেননি বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। বাইরের কারও হাত আছে কি না, কিংবা কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন কি না, সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার বসন্তকুঞ্জের রংপুরী এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনা দিল্লির বুরাড়ীতে একই পরিবারের ১১ জনের আত্মহত্যার স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে।