Uniform Civil Code

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পর প্রথম সপ্তাহে জমা পড়ল একত্রবাসের ছ’টি আবেদন

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে উত্তরাখণ্ডে চালু হয়ে গিয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। নতুন বিধি অনুসারে, একত্রবাসের জন্য যুগলকে বিয়ের মতো প্রায় একই ধাঁচের ‘রেজিস্ট্রেশন’ করাতে হবে। নিয়ম না মানলে কিংবা রেজিস্ট্রেশনের সময় কোনও ভুল তথ্য দিলে হতে পারে জেলও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হওয়ার পর ন’দিন পেরিয়ে গিয়েছে। সেই আবহেই এ বার প্রথম একত্রবাস সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশন হল সে রাজ্যে। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত অনলাইনে একত্রবাস সম্পর্ক নথিভুক্ত করার ছ’টি আবেদন জমা পড়েছে। তাদেরই মধ্যে এক যুগলের সফল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মঙ্গলবার।

Advertisement

দেহরাদূনের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তথা ইউসিসির নোডাল অফিসার অভিনব শাহ ‘টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া’কে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনটি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন নিবন্ধকেরা। তার পর যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে পুলিশের একটি দল। চূড়ান্ত পর্যায়ের ভেরিফিকেশন শেষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে উত্তরাখণ্ডে চালু হয়ে গিয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। নতুন বিধি অনুসারে, একত্রবাসের জন্য যুগলকে বিয়ের মতো প্রায় একই ধাঁচের ‘রেজিস্ট্রেশন’ করাতে হবে। নিয়ম না মানলে কিংবা রেজিস্ট্রেশনের সময় কোনও ভুল তথ্য দিলে হতে পারে জেলও। তিন মাসের কারাবাস কিংবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে যুগলের। কেউ যদি একত্রবাসের রেজিস্ট্রেশন করাতে এক মাসের বেশি দেরি করেন, তা হলেও শাস্তি পেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিন মাসের জেল কিংবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ বছরের কম বয়সি যুগল একত্রবাসে থাকলে, তাঁদেরও প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সিদের একত্রবাসের জন্য বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন। বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া একত্রবাসের রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন না ২১ বছরের কম বয়সি যুগলেরা। একত্রবাসে থাকা যুগল কোনও সন্তানের জন্ম দিলে, তাকে যুগলের সন্তান হিসাবে আইনি বৈধতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নতুন বিধিতে। সূত্রের খবর, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে যাতে ওই সন্তান সমানাধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন