দাউদাউ করে জ্বলছে গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তার মাঝে দাউদাউ করে জ্বলছে একটি গাড়ি। ভিতরে আটকে এক মহিলা এবং কয়েক জন শিশু। আতঙ্কে পরিত্রাহী চিৎকার করছিলেন তাঁরা। পথচারীরা ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন। কেউ কেউ গাড়ির কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু আগুনের হলকায় সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। খবর যায় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) কাছে। এসএসপির-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির কাচ ভেঙে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে। ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচীতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির আরোহীরা একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। আইটিবিপি ক্যাম্পের কাছে রিং রোডে চলন্ত অবস্থাতেই হঠাৎ গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। চালক গাড়ি থামান। কিন্তু তত ক্ষণে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় গাড়ির সামনের অংশে। চালকের দাবি, রিং রোডে গাড়ির ব্রেক আচমকাই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। আর তার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির দরজাগুলি স্বয়ংক্রিয় ভাবে লক হয়ে যায়।
গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেন চালক। জানলার কাচ নামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। এই দৃশ্য দেখে পথচারীরা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমকে খবর দেন। এসএসপি কৌশল কিশোরের নেতৃত্বে একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির কাচ ভেঙে মহিলা এবং শিশুদের উদ্ধার করে।
দিন কয়েক আগেই কেরলের কান্নুরের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে এক শিশু-সহ আরও চার জন ছিলেন। ওই চার জন গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন। মাঝপথেই চলন্ত গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গাড়ির পিছনের আসনে বসে থাকা আরোহীরা কোনও রকমে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে পারলেও গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন দম্পতি। পথচারীরা তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাঁদের চোখের সামনে ঝলসে মৃত্যু হয় দম্পতির। কিন্তু রাঁচীর ঘটনায় পুলিশের উদ্ধারকারী দল দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায়, কান্নুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি।