Tripura Crime News

ত্রিপুরায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ! স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ, অত্যাচার

দক্ষিণ ত্রিপুরায় স্কুল থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও অধরা অভিযুক্তেরা। তার আগের দিন উত্তর ত্রিপুরায় অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩১
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ত্রিপুরায়।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ত্রিপুরায়। —প্রতীকী চিত্র।

ত্রিপুরায় পর পর দু’দিন দু’টি পৃথক গণধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে এল। স্কুল থেকে ফেরার পথে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর আগে শুক্রবারও এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল উত্তর ত্রিপুরা থেকে। এ বার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ত্রিপুরা।

Advertisement

দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া মহিলা থানা এলাকায় শনিবার এক ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ছাত্রীর বাবা থানায় জানিয়েছিলেন, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। তাঁদের সন্দেহ, মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনের একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। একাধিক জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। একাধিক ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এই ঘটনায় রাতেই এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ২২ বছরের যুবক। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। তিনিই শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়েছে।

শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই দু’জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement