প্রতিনিধিত্বমূক ছবি।
বন বিভাগের দফতরের ধরা পড়ল আরও এক মানুষখেকো নেকড়ে। তবে এখনই আতঙ্ক কাটছে না উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। বাকি এক নেকড়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি বন দফতরের।
মঙ্গলবার ভোরে বন বিভাগের পাতা জালে ধরা পড়েছে পঞ্চম মানুষখেকো। বহরাইচের হারবাকশ পুরয়া গ্রামে ওই নেকড়েটি ফাঁদ পেতে ধরেছেন বনকর্মীরা। মানুষখেকো নেকড়ের দলকে ধরতে বিশাল আয়োজন করে বন দফতর। নেকড়ে ধরতে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ অভিযানে নামে তারা। প্রথম দিকে স্পষ্ট ছিল না যে, এটি একটি নেকড়ের কাজ, না কি আরও অনেক নেকড়ে রয়েছে সেই দলে। তবে স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী নজরদারি শুরু করে বন দফতর। তখনই তারা জানতে পারে, একা নয়, নেকড়ের একটি দল এই হামলা চালাচ্ছে। সেই দলে ছিল ছ’টি নেকড়ে। একে একে চারটি ধরা পড়লেও, বাকি দুই নেকড়ের তাণ্ডবে ঘুম উড়েছিল গ্রামবাসীদের। তাদের মধ্যে আরও একটি ধরা পড়ল মঙ্গলবার।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বহরাইচে মানুষখেকোর আতঙ্ক শুরু হয়। সরকারি হিসাবে, নেকড়ের আক্রমণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে। ৩৫টি গ্রামের মানুষ নেকড়ের আতঙ্ক সিঁটিয়ে রয়েছেন। রাতে না ঘুমিয়ে লাঠিসোটা হাতে গ্রাম পাহারার কাজ শুরু করেন ছেলেরা। সর্বদাই ছিল সতর্ক দৃষ্টি। কিন্তু তার পরেও নেকড়ে অতর্কিত হামলা থেকে রক্ষা করা যায়নি শিশুদের।
যোগী আদিত্যনাথের সরকার ইতিমধ্যেই নেকড়ের হামলাকে ‘বন্যপ্রাণী বিপর্যয়’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। বন দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে বহরাইচের বিভিন্ন জায়গায় পাহারা শুরু করে। মানুষখেকো নেকড়েদের ধরতে বন দফতর ২৫টি দল গঠন করেছে। সেই দলে রয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। যে এলাকাগুলিতে নেকড়ের হামলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ২০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার পঞ্চম নেকড়ে ধরা পড়লে এখনই স্বস্তি ফিরছে না বহরাইচে। বাকি এক নেকড়ের সন্ধান চলছে।