সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথন। ফাইল চিত্র।
গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির আদালত সাজা দিয়েছে সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনের পাঁচ খুনিকে। সাজা ঘোষণার দু’সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হল সৌম্যার বাবা এমকে বিশ্বনাথনের (৮২)। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে জানা গিয়েছে। কন্যার খুনিদের যে দিন সাজা ঘোষণা চলছিল, হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন এমকে বিশ্বনাথন।
সাজা ঘোষণার পর সৌম্যার মা মাধবী বিশ্বনাথন সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, “আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি যে কষ্ট পেয়েছি, ওরাও (খুনিরা) সেটা পাক। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে আমি যে এতে খুশি হয়েছি এমনটা নয়। আমার স্বামী আইসিইউতে ভর্তি। ওঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছে।”
১৫ বছর ধরে কন্যার খুনের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন বিশ্বনাথন দম্পতি। গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির সাকেত আদালত চার খুনিকে যাবজ্জীবন এবং এক জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। দোষীদের মধ্যে রবি কপূর, অমিত শুক্ল, বলজিৎ মালিক এবং অজয় কুমারকে যাবজ্জীবন এবং অজয় শেট্টি নামে আর এক দোষীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ব্যাখ্যা দিয়েছে, এই মামলাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, তাই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সম্ভব হল না।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কাজ থেকে ফেরার পথে রাত ৩টের সময় দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের কাছে খুন হয়েছিলেন বছর পঁচিশের টেলিভিশন সাংবাদিক সৌম্যা। একটি গাড়ির ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সৌম্যার মাথায় গুলির আঘাত ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী জিগীষা ঘোষের মৃত্যুর তদন্তে নেমে সৌম্যার খুনের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায় পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁরা সৌম্যার খুনের সঙ্গেও যুক্ত। ২০০৯ সালে পেশ করা ৬২০ পাতার চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ জানায় যে, ডাকাতি এবং লুটপাটের জন্যই সৌম্যাকে খুন করা হয়।