দিল্লি-পঞ্জাব সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এ বার কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র
দিল্লি-পঞ্জাব সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এ বার কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন নাগরিকের মৌলিক অধিকার হলেও দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা আটকে তা চলতে পারে না বলেই বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানাল শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সরকার পক্ষ এবং কৃষক পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে চরমে পৌঁছয় বাদানুবাদ। কৃষক পক্ষের আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে ও প্রশান্ত ভূষণ আদালতে জানান, কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে পরিকল্পনা করে রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লির রামলীলা ময়দান ও যন্তর মন্ত্রর ছেড়ে দেওয়া হোক কৃষকদের জন্য। কৃষক পক্ষের এই দাবির বিরোধিতা করে চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া লালকেল্লার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তথা এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এসকে কলের বেঞ্চ জানায়, ‘‘রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে যাতায়াতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করতেই হবে।’’ গত বছরও দিল্লিতে শাহিনবাগ আন্দোলনের সময় সু্প্রিম কোর্ট জানিয়েছিলেন, রাস্তা আটকে অন্যের চলাফেরায় সমস্যা তৈরি করে দীর্ঘ দিন বিক্ষোভ দেখানো যেতে পারে না। এ দিনও শীর্ষ আদালতের ওই পর্যবেক্ষণ মনে করিয়ে দিয়ে বিচারপতি কল বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আইন তৈরিই আছে। একই ব্যাপারে বার বার আইন তৈরির প্রয়োজন নেই। রাস্তা আটকে রাখা যাবে না। এর সমাধান খুঁজতেই হবে।’’
এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর।