আগের প্রস্তাব এখনও বহাল, জানালেন মোদী।
রাজধানীতে ধুন্ধুমারের রেশ এখনও কাটেনি। তবে কৃষকদের জন্য আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে। আগের মতোই কৃষি আইন সাময়িক স্থগিত রাখতে প্রস্তুত সরকার। শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, কৃষক নেতারা একটা ফোন করলেই হল। তা হলেই ফের আলোচনা শুরু করা যাবে।
কৃষক আন্দোলন চলাকালীনই শুক্রবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের আগেই সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কিন্তু কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ১৯টি বিরোধী দল অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করেন। সেই আবহে শনিবার বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন মোদী। সেখানেই কৃষকদের উদ্দেশে এমন বার্তা দেন মোদী।
বিরোধী দলগুলিকে নিজেদের সমর্থকদের কাছেও তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরোধ জানান মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা এখনও বহাল রয়েছে। আপনাদের সমর্থকদের সে কথা জানাতে অনুরোধ করছি। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বার করতে হবে। দেশের কথা ভাবতে হবে আমাদের সকলকেই।’’
সরকারি প্রস্তাবে সায় থাকলে তাঁকে একটা ফোন করলেই হবে বলে এর আগে কৃষকদের বার্তা দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। তাঁকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নরেন্দ্র সিংহ তোমর কৃষকদের যা বলেছিলেন, আমারও তাই বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, এখনও পর্যন্ত একমত না হতে পারলেও কৃষকদের একটা প্রস্তাব দিচ্ছি আমরা। তাঁরা সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারেন। একটা ফোনেই তাঁকে পাওয়া যাবে, সে কথাও বলেছিলেন তিনি।’’
আপাতত ১৮ মাসের জন্য বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব আগেই কৃষকদের দিয়েছিল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে ১১ দফায় বৈঠকের সময় ওই প্রস্তাব রাখা হয় কৃষকদের সামনে। কিন্তু কৃষক নেতারা তাতে সম্মত হননি। বরং সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।
এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ, শিবসেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত, শিরোমণি অকালি দলের বলবিন্দর সিংহ ভুন্দেরের মতো বিরোধী দলের নেতারা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের অবস্থান জানান তাঁরা।