Farmers’ Protest

‘দিল্লি যাত্রা’ সাত দিনের জন্য স্থগিত, শম্ভু-খনৌরি সীমানার জমি ছাড়ছেন না কৃষকেরা

শুক্রবার রাতে খনৌরি সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা সরবন সিংহ পান্ধের। সেখানে তিনি আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে বলার সময়ই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানান।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৬
‘দিল্লি যাত্রা’ সাত দিনের জন্য স্থগিত।

‘দিল্লি যাত্রা’ সাত দিনের জন্য স্থগিত। ছবি রয়টার্স।

কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা সংলগ্ন একাধিক এলাকা। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রক্ত ঝরেছে। প্রাণ গিয়েছে দু’পক্ষ মিলিয়ে বেশ কয়েক জনের। এ হেন পরিস্থিতিতে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি আপাতত কয়েক দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কৃষক সংগঠনগুলি। সীমানা পেরিয়ে দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা না করলেও আন্দোলনকারীরা বসে থাকবেন সীমানা এলাকায়।

Advertisement

শুক্রবার রাতে খনৌরি সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা সরবন সিংহ পান্ধের। সেখানে তিনি আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে বলার সময়ই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। তবে আমরা সীমানা ছাড়ব না। সেখানে বসেই অপেক্ষা করব।’’

‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত হলেও কৃষকেরা আন্দোলন বন্ধ করেছেন না। রবিবার কৃষকেরা একটি মোমবাতি মিছিল করবেন। সোমবার কৃষকদের সমস্যা নিয়ে একটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক সংগঠনের নেতারা আবারও নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকেই ঠিক হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।

নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে বুধবার থেকে নতুন করে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকেরা। সে দিন সকালে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক খনৌরি এবং শম্ভু সীমানা পেরোনোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী।

সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয় শুভকরণ সিংহ নামে বছর ২১-এর এক যুবকের। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকেরা। মৃত যুবকের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব সরকার। যদিও সেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করে নিহত কৃষকের পরিবার। তাদের দাবি, ‘‘আমাদের সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার চাইছি। এটা টাকা বা চাকরির সমতুল্য হতে পারে না।’’ তার পরই দেখা গেল ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিতের কথা ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement