Pilibhit

৫০ হাজারে কন্যাকে বিক্রি শ্বশুরের! স্ত্রীকে ফিরে পেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক

অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছরের ১০ জুন বাপের বাড়িতে যান ওই তরুণী। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৫
তরুণীকে বিক্রির অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

তরুণীকে বিক্রির অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন তাঁর বাবাই। স্ত্রী কেন ফিরে আসছেন না, তা জানতে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন যুবক। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্ত্রীর হদিস না মেলায় বিচলিত হয়ে পড়েন যুবক। শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর স্ত্রী কোথায়? যুবকের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানান, তাঁর স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু যুবকের সন্দেহ হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবক। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের খেড়ি জেলার সান্দাউরা গ্রামের।

অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছরের ১০ জুন বাপের বাড়িতে যান ওই তরুণী। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। যুবকের অভিযোগ, স্ত্রীকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জোর করে গর্ভপাত করান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার কয়েক দিন পর সীতাপুরের তাম্বোর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে বিয়ে হয়েছিল যুবকের। পেশায় তিনি এক জন কৃষক। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ২০২৪ সালের জুনে তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও স্ত্রী তাঁর কাছে ফিরে না আসায় শ্বশুরবাড়িতে যান। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক জনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। যুবকের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুর অত্যন্ত প্রভাবশালী। রাজনীতিতে ভাল যোগ রয়েছে। তাই তদন্ত প্রভাবিত করছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন