ইউপিএসসি সদর দফতর। ফাইল চিত্র।
করোনা অতিমারির কারণে যে পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শেষ বারের জন্য বসতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের ফের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইউপিএসসি (ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন) কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ইউপিএসসি-র তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতে রচনা সিংহ নামে এক পরীক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউপিএসসি-র কৌঁসুলি জানান, যে পরীক্ষার্থীরা অতিমারির কারণে তাঁদের পরীক্ষায় বসার শেষ সুযোগ হারিয়েছেন তাঁদের আরও এক বার সুযোগ দেওয়া হবে। ২০২১ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। তার আগে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ইউপিএসসি-র এই পদক্ষেপে স্বস্তি পাবেন অনেক পরীক্ষার্থী।
অতিমারি পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়ে গত বছর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে ইউপিএসসি জানিয়ে দিয়েছিল, অক্টোবরে দেশের ৭২টি শহরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার সমস্ত আয়োজন হয়ে গিয়েছে। তাই পরীক্ষা পিছনো সম্ভব নয়।
সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিক্রমে ৪ অক্টোবর পরীক্ষায় আয়োজন করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯৫২ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু অতিমারির কারণে অনেকেই পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ‘পরামর্শ’ ছিল, অতিমারির কারণে যে পরীক্ষার্থীদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার শেষ সুযোগ নষ্ট হচ্ছে, তাঁদের ফের একবার সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে বয়সসীমা সংক্রান্ত বিধিও শিথিল করার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে ইউপিএসসি-কে।
গত ২৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর বিষয়টি বিবেচনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, নতুন করে সুযোগ দেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে ‘রীতি’ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত শুক্রবার পরীক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষার পক্ষেই সায় দিল ইউপিএসসি। প্রসঙ্গত, গত ১০-১২ জানুয়ারি ইউপিএসসি-র কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২০ (মেন) অনুষ্ঠিত হয়েছে।