Elephant Death at Bandhavgarh

চার দিনে ১০! বান্ধবগড়ে হাতির মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য, কারণ খুঁজতে দিল্লি থেকে গেল বিশেষজ্ঞ দল

মুখ্য বনসংরক্ষকের দাবি, এখনও পর্যন্ত যত হাতির মৃত্যু হয়েছে, সেই ঘটনায় কোনও রকম সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে কেন হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৭
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাতির মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। রাজ্যের মুখ্য বনসংরক্ষক আধিকারিক ভিকেএন অম্বাডে জানিয়েছেন, বুধবার এক হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও দু’টি হাতির মৃত্যু হয়। চার দিনের মধ্যে এত সংখ্যক হাতির মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

মুখ্য বনসংরক্ষকের দাবি, এখনও পর্যন্ত যত হাতির মৃত্যু হয়েছে, সেই ঘটনায় কোনও রকম সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে কেন হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এত সংখ্যক হাতির মৃত্যুতে শোরগোল পড়তেই কারণ খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল বান্ধবগড়ে হাজির হয়েছে।

মুখ্য বনসংরক্ষক আরও জানিয়েছেন, আশাপাশের ক্ষেত, কৃষিজমি এবং জলাভূমিগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য বনসংরক্ষক আধিকারিক এল কৃষ্ণমূর্তি আবার জানিয়েছেন, হাতিদের দেহগুলি পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে। তবে কী থেকে বিষক্রিয়া, না কি এর নেপথ্যে বড় কোনও চক্রান্ত কাজ করছে, তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে দলের একমাত্র পুরুষ হাতি-সহ ১০টির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনটি হাতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই তিনটি হাতি সুস্থ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকার হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। এ ছাড়াও দিল্লি থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল আলাদা ভাবে তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন
Advertisement