Rahul Gandhi

ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন ঘোষণায় ‘তাড়াহুড়ো’ করবে না কমিশন, ৩০ দিনের সময়সীমা পেরোলে সিদ্ধান্ত

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব বলেন, ‘‘কোনও তাড়াহুড়ো নেই, আমরা অপেক্ষা করব। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য নিম্ন আদালত যে সময় দিয়েছে, সেই সময়সীমা পেরোনোর আগে তাড়াহুড়ো করা হবে না।’’

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৯
file image of Rahul Gandhi

কেরলের ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন কবে? — ফাইল ছবি।

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর খালি হওয়া কেরলের ওয়েনাড় আসনে উপনির্বাচন কবে? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দিলেন, ওয়েনাড়ে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণায় তাড়াহুড়ো করা হবে না। সুরতের আদালত রাহুলকে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। সেই সময়সীমা পেরোনোর আগে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে কর্নাটকে গিয়ে ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছিলেন কংগ্রেসের রাহুল। তা নিয়ে গুজরাতের একটি আদালতে মামলা হয়। সম্প্রতি সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ২ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়েছে রাহুলকে। এর ফলে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। স্বভাবতই, রাহুলের ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেই দিনক্ষণ ঘোষণার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকালে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তখনই তিনি জানান, কমিশন আপাতত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খালি হওয়া আসনে উপনির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেব্রুয়ারির পর থেকে যে আসনগুলি খালি হচ্ছে, তাতে কবে উপভোট হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Advertisement

রাজীব বলেন, ‘‘কোনও তাড়াহুড়ো নেই, আমরা অপেক্ষা করব। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য নিম্ন আদালত যে সময় দিয়েছে, সেই সময়সীমা পেরোনোর আগে তাড়াহুড়ো করা হবে না। সময়সীমা পেরোনোর পর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’’

তিনি আরও জানান, ওয়েনাড়ে আসন ‌খালি হয়েছে। এই খবর তারা জানতে পেরেছেন গত ২৩ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী, তার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হয়। পাশাপাশি রাজীব জানিয়ে দেন, সাধারণত কোনও কেন্দ্রের মেয়াদ যদি এক বছরের কম থাকে, তাহলে সেখানে উপনির্বাচন করানো হয় না। কিন্তু ওয়েনাড়ের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তি হতে এক বছরেরও বেশি সময় বাকি। স্বভাবতই, রাহুলের হারানো ওয়েনাড় কেন্দ্রে যে কমিশন উপনির্বাচন করানোর কথাই ভাবছে, তা পরিষ্কার। কিন্তু সে জন্য রাহুলকে দেওয়া আদালতের ৩০ দিনের সময়সীমা পেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

যে দ্রুততায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ এবং সাংসদদের জন্য বরাদ্দ বাসভবন ছাড়ার নোটিস জারি হয়েছে, তাতে কংগ্রেসের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি কর্নাটকের ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গেই ওয়েনাড়েও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে? কিন্তু আদালতের দেওয়া সময়সীমা পর্যন্ত অপেক্ষা করার রাস্তাতেই হাঁটলেন রাজীবরা।

আরও পড়ুন
Advertisement