একনাথ শিন্দে। ছবি পিটিআই।
শনিবার ফল প্রকাশের পরে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া নিয়ে টানাপড়েন জারি রইল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও মহায্যুতির অন্দরে এই টানাপড়েনের নেপথ্যে ওই জোটের নেতৃত্বের জটিলতাই রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ না-ছাড়ার বিষয়টিতে কার্যত অনড় ছিলেন শিবসেনা নেতা তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে। বিস্তর দর-কষাকষির পরে গত কাল সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন তিনি। তার পরেও চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করতে পারেননি জোট নেতৃত্ব। তবে বিজেপি নেতৃত্ব ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছেন, শিন্দে পিছিয়ে আসায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফডণবীসের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের মতে, মূলত দফতর বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না-হওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা আটকে রয়েছে। এই জটিলতা দেখে কংগ্রেস নেতৃত্বের কটাক্ষ, জোটের মধ্যে যে তালমিল নেই, তা মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা নিয়ে বিলম্বেই স্পষ্ট। বড় শরিকের চাপে শিন্দে যে গদি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধে হচ্ছে না।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে আজ রাত ৯টা নাগাদ দিল্লিতে পা দেন শিন্দে। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর গোষ্ঠীর শিবসেনা সাংসদেরা। সংবাদমাধ্যমকে শিন্দে বলেন, “গত কালই সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলাম, মহায্যুতির মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কোনও বিরোধ নেই। দিল্লিতে এসেছি একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে।” রাত ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকে বসেন শিন্দে। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। বৈঠকে পরে যোগ দেন দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং আর এক শরিক নেতা, এনসিপির অজিত পওয়ার। সূত্রের মতে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নামের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারে কোন দল কী মন্ত্রিত্ব পাবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তবে জট এখনও কাটেনি।