Eknath Shinde

মহারাষ্ট্রে দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে রায় আজ, বিতর্কে স্পিকার

শিবসেনার ভাঙনের মধ্যে দিয়ে ২০২২-এর জুনে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন হয়েছিল। কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্দে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৭
eknath shinde

একনাথ শিন্দে। —ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রের দলত্যাগী বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে রায় ঘোষণার ঠিক তিন দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের সঙ্গে বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকারের বৈঠক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। স্পিকারকে নিয়ে তাদের অভিযোগ, দলত্যাগী বিধায়কদের পদ খারিজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন যিনি, তিনি রায় দেওয়ার আগে এক পক্ষের নেতার সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করছেন— এটা মেনে নেওয়া যায় না।

Advertisement

শিবসেনার ভাঙনের মধ্যে দিয়ে ২০২২-এর জুনে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন হয়েছিল। কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্দে। সেই সময়ে দলের অধিকারের দাবি করতে গিয়ে দু’পক্ষই অন্য শিবিরের বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করে। শিবসেনার দুই শিবির ও শরদ পওয়ারের এনসিপি মিলিয়ে ৫৬ জন বিধায়কের পদ খারিজের আবেদন জমা পড়েছে স্পিকারের সামনে। তবে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা বদলের পর থেকে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছেন স্পিকার। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্পিকারকে তাঁর সিদ্ধান্ত জানানোর সময়সীমা বেধে দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কোর্টের কাছে ফের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চান স্পিকার। কিন্তু তাঁকে আগামিকালের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে বিতর্কে জড়িয়েছেন স্পিকার। স্পিকারের বাসভবনে ওই বৈঠকের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দরজায় পৌঁছেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তাদের প্রশ্ন, শিন্দের বিরুদ্ধেই যখন দলত্যাগের অভিযোগ, তখন রায় জানানোর তিন দিন আগে স্পিকার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন কেন? শিন্দে শিবিরের নেতা ও দলের মুখপাত্র সঞ্জয় শিরসাত যুক্তি দিয়েছেন, এতে অন্যায় নেই। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এ সবের মধ্যে খুনের মামলাও জড়িয়ে নেই। সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement