(বাঁ দিক থেকে) লালু, মিসা, রাবড়ি এবং তেজস্বী। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় রেলে ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং সাংসদ-কন্যা মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। লালু-রাবড়ির আর এক কন্যা হেমা যাদব, লালু পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ অমিত কাত্যাল, রেলওয়ে কর্মচারী এবং কথিত সুবিধাভোগী হৃদয়ানন্দ চৌধুরী, দু’টি সংস্থা ‘একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং সংস্থা দু’টির ডিরেক্টর শরিকুল বারীর নামও দিল্লির বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া ইডির চার্জশিটে রয়েছে।
এই মামলায় লালু এবং তাঁর পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। প্রসঙ্গত, লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে।
ঘটনার তদন্তে ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। ওই বছরের ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার নামও ছিল। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম ছিল সিবিআই চার্জশিটে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন।
সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা। এর পর ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’র মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিস পেতে তদন্তে নামে ইডি।