প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনের সময় কালো টাকার রমরমা রুখতে রাজনৈতিক দলের তহবিলে মোটা অঙ্কের অনুদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে এ বার পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে দলীয় তহবিলের জন্য ২০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান নেওয়া যাবে না। সোমবার এই মর্মেই কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুকে একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১’ অনুযায়ী, কারা দলের তহবিলে অনুদান দিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের নাম জানাতে বাধ্য। কিন্তু সেই বিধি শুধু ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি অনুদানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কমিশন সেই ঊর্ধবসীমা কমিয়ে আনতে চাইছে। কমিশন চাইছে, ২০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান কারও থেকে নিলেই সেই ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে এই ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনা সম্ভব। আইন সংশোধনের সেই কাজটি সরকারকেই করতে হবে। কোথায় কোথায় সংশোধন করা যেতে পারে, সেই সব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে সুপারিশপত্রে।
গত ২০১৬ সালেও প্রায় একই সুপারিশ করেছিল কমিশন। তাদের মত, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে সংস্কার আনার কথা ভাবা হচ্ছে, তার জন্য জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে এই সংশোধন জরুরি। যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তহবিলে বিপুল অনুদান দেন অথচ নিজেদের নাম প্রকাশ করেন না, তাঁদের উপর নজরদারি বাড়ালেই নির্বাচনের বাজারে কালো টাকার রমরমা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলেই মনে করছে কমিশন।