চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স।
ভূমিধসে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে চারটি গ্রাম। ধসে পড়েছে একের পর এক ঘর। উদ্ধারকাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যেই দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণকর্মীদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ড্রোন। এমনই দৃশ্য দেখা গেল কেরলের ওয়েনাড়ে।
ভূমিধসের পর থেকেই কার্যত বিচ্ছিন্ন সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভরসা ড্রোনই। ড্রোনের সাহায্যেই উদ্ধারকারীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবারের প্যাকেট। এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক ড্রোন। এমন এক একটি ড্রোন ১০ জনের খাবার বহন করতে সক্ষম। এ ছাড়াও মেপ্পাদি এলাকায় কমিউনিটি কিচেন বানিয়ে উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে কেরল হোটেল ও রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি দিন প্রায় ৭০০০ খাবারের প্যাকেট তৈরি করছে। ড্রোনের সাহায্যেই বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোরে ধস নেমেছিল ওয়েনাড়ে। তার পর থেকে ধস-বিধ্বস্ত কেরলের এই জনপদে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তিনশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই বলছে, সরকারি হিসাবে ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কেরল পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি শুক্রবার জানিয়েছেন, প্রায় ৩০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। ৩৪৮টি বাড়ি পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনীও। ত্রাণকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধারে নেমেছেন স্থানীয়েরাও। চূড়ালমালাতে উদ্ধারকাজে আরও গতি আনার জন্য বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই অস্থায়ী সেতু বানিয়েছে সেনা। ধসকবলিত মুন্ডাক্কাই এবং চূড়ালমালাকে মোট ছ’টি অঞ্চলে ভাগ করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়েনাড়ের জেলাশাসক মেঘাশ্রী ডি আর। প্রথমে আত্তামালা এবং আরানমালা, দ্বিতীয় মুন্ডাক্কাই, তৃতীয় পুঞ্চিরিমাত্তম, চতুর্থ ভেলারিমালা গ্রাম, পঞ্চম জিভিএইচএএস ভেলারিমালা এবং শেষে নদীর পারগুলিতে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।