Traffic Rule

ট্র্যাফিক আইন ভেঙে জরিমানা না দিলে বিপদ, কঠোর শাস্তির বিধান নিয়ে ভাবনাচিন্তা কেন্দ্রীয় সরকারের

শেষ অর্থবর্ষে ট্র্যাফিক বিধি ভাঙার জন্য যে পরিমাণ জরিমানা হয়েছে, তার মাত্র ৪০ শতাংশ আদায় হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই জরিমানা না দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তার পরই এই উদ্যোগ কেন্দ্রের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৫:২৯
Driving license may be suspended if traffic fines are not paid within three months

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বার বার ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করেও জমা করা হয়নি চালান (জরিমানা)! তবে বিপদ আসন্ন। তিন মাসের মধ্যে যদি জরিমানা পরিশোধ করা না হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স সাসপেন্ড হতে পারে! শুধু তা-ই নয়, একটি অর্থবর্ষের মধ্যে তিন বার ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মানা বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগেও তিন মাসের জন্য লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হতে পারে। এমনই ভাবনাচিন্তা কেন্দ্রের।

Advertisement

শেষ অর্থবর্ষে ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার জন্য যে পরিমাণ জরিমানা হয়েছে, তার মাত্র ৪০ শতাংশ আদায় হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই জরিমানা না দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তা আটকতেই লাইসেন্স সাসপেন্ড করার পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ সূত্রে খবর, দেশের মধ্যে দিল্লিতেই ই-চালানের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পরিমাণ সবচেয়ে কম। রাজধানীতে মাত্র ১৪ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তার পরই রয়েছে কর্নাটক (২১ শতাংশ), তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ (২৭ শতাংশ) ও ওড়িশা (২৯ শতাংশ)। তবে রাজস্থান, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা হল এমন রাজ্য, যেখানে জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ৬২ থেকে ৭৬ শতাংশ।

কেন জরিমানা পরিশোধে গাফিলতি করেন ট্র্যাফিক নিয়ম ভঙ্গকারীরা? সূত্রের দাবি, দ্রুত চালান পরিশোধ না করার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ত্রুটিপূর্ণ চালান কাটা। তবে এ বার থেকে জরিমানা আদায়ের জন্য নতুন পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, রাস্তায় লাগানো বিভিন্ন ক্যামেরায় কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়াও, যদি কোনও জরিমানা বকেয়া থাকে, তবে প্রতি মাসে গাড়ির মালিক বা চালককে পরিশোধের জন্য বার বার সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।

সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক বিধি ভঙ্গ করলে গাড়ির মালিক বা চালককে তিন দিনের মধ্যে একটি ই-চালান নোটিস পাঠানো হবে। নোটিস পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে জরিমানার অর্থ প্রদান করতে হবে কিংবা তা চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। ৩০ দিনের মধ্যে যদি গাড়ির মালিক বা চালক কোনও পদক্ষেপ না করেন, তবে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। ৯০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা নিবন্ধ শংসাপত্র সাসপেন্ড করা হতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন