ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে যাবেন বলে অনলাইনে বাইক বুক করেছিলেন তরুণী। বাইকচালক ঠিকানায় পৌঁছোনোর পর তরুণীকে ফোন করেই প্রথমে বলেন, ‘‘আপনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?’’ চালকের কথা বলার ধরন শুনে প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। তার পর বাইকে উঠে চালকের সঙ্গে কথা বলে তরুণী জানতে পারেন যে, যিনি বাইক চালাচ্ছেন তিনি আসলে ইনফোসিস সংস্থার কর্মী। অবসর সময়ে বাইক চালান তিনি। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছেন তা প্রশ্ন করায় তরুণ বলেন, ‘‘শনি-রবিবার বাড়িতে বসে বসে একঘেয়ে লাগে। ফোন ঘাঁটতে থাকি শুধু। ভোরবেলা উঠেও বিশেষ কিছু করার থাকে না। তাই বাইক চালাই। সময়ও কেটে যায়। বাড়তি উপার্জনও হয়।’’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে। তরুণীর নাম চারমিখা নাগাল্লা। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। রাস্তাঘাটে চারমিখা তাঁর লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টের পাতায় বাইকচালকের ছবি পোস্ট করে আরও একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। তরুণী জানান, অফিস থেকে বাড়ি ফিরবেন বলে তিনি বাইক বুক করেছিলেন। কিন্তু বাইকে ওঠার সময় তার চেহারা দেখে অবাক হয়ে যান চারমিখা।
এমন দামি বাইক নিয়ে চালক কেন ভাড়া খাটেন তা জিজ্ঞাসা করায় তরুণ চালক জানান, তিনি বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। বাইকটি তাঁর নিজের। রাতে অফিসের কাজ সেরে একা একা বাড়ি ফিরতে ভাল লাগে না তাঁর। কথা বলার সঙ্গী পাওয়া যায় বলে তিনি বাড়ি ফেরার সময় বাইক চালিয়ে বাড়তি রোজগার করেন। এর ফলে তাঁর একাকিত্বও কেটে যায়।