আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: পিটিআই।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবিধ্বংসী ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নততর সংস্করণের ফের সফল পরীক্ষা করল ভারতীয় ‘প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিআরডিও)। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ছোড়া মাঝারি পাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুল লক্ষ্যভেদে সক্ষম হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, খুব নিচু দিয়ে দ্রুত গতির একটি চালকবিহীন বিমানকে (ড্রোন) সফল ভাবে ধ্বংস করেছে নয়া ‘আকাশ’ (যার পোশাকি নাম (‘আকাশ এনজি’)। ‘রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি সিকার’, ‘মাল্টি-ফাংশন রাডার’ এবং আধুনিক ‘কমান্ড, কন্ট্রোল এবং কমিউনিকেশন সিস্টেম’ রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রে। যা পুরনো সংস্করণটিতে ছিল না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের সূর্যলঙ্কা টেস্ট ফায়ারিং সেন্টারে আকাশের ধারাবাহিক পরীক্ষা সফল হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘কম্বাইনড গাইডেড ওয়েপনস ফায়ারিং ২০২০ এক্সারসাইজ়’ উপলক্ষে আয়োজিত ওই পরীক্ষায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সফল ভাবে আঘাত হেনেছিল আকাশ। এর পরে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চাঁদিপুরে লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছিল ‘আকাশ’।
গত তিন বছরে ক্ষেপণাস্ত্রটির আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে বলে ডিআরডিও সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ২০২০-র অগস্টে গালওয়ানকাণ্ডের পরেই লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় সম্ভাব্য চিনা বিমানহানা ঠেকাতে গত বছরই ‘আকাশ’ মোতায়েন করা হয়েছিল। ভারতীয় বায়ুসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, চিনের জেএইচ-১৭ থান্ডার এমনকি, পঞ্চম প্রজন্মের জে-২০ স্টেল্থ (রাডার নজরদারি এড়াতে সক্ষম) যুদ্ধবিমানের সম্ভাব্য হামলার মোকাবিলায় নয়া ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকরী ভূমিকা নিতে সক্ষম।
ডিআরডিও এবং ‘ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড’ যৌথ উদ্যোগে আকাশের নয়া সংস্করণটি তৈরি করেছে। আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড’ রয়েছে সহযোগীর ভূমিকায়। চিনের আপত্তি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে সক্রিয় হয়েছে নয়াদিল্লি। পুরনো সংস্করণের ওই ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে।