রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। — ফাইল চিত্র।
গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেই ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশনের দিনেও নরেন্দ্র মোদী সরকার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানায়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এই আবহে গোটা বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী বিধবা এবং আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলেই বিজেপি সরকার ব্রাত্য করে রেখেছে তাঁকে।
স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার সদস্য তথা জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা উদয়নিধি বুধবার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি দেশের প্রথম নাগরিক। অথচ নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন এবং সূচনা অধিবেশন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হল। তিনি বিধবা এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলেই তাঁর সঙ্গে এমনটা ঘটল। এটাই সনাতন ধর্ম? তা হলে বলব, এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’’ প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর উদয়নিধি চেন্নাইয়ে লেখকদের একটি অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মকে অপমান করেছিলেন বলে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের অভিযোগ। উদয়নিধির বিরুদ্ধে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এই পরিস্থিতিতে উদয়নিধির মন্তব্যকে ‘পাল্টা চাপের রণনীতি’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব কৃতিত্ব নিতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি নিজে প্রচারের সব আলো শুষে নিতে চান। সেই কারণে উপেক্ষা করা হচ্ছে দেশের প্রথম আদিবাসী (তফসিলি জনজাতি) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে। কিন্তু স্ট্যালিন-পুত্রের ‘বিধবা এবং আদিবাসী’ মন্তব্য এ বার পুরো বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিল। প্রসঙ্গত, নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে। কিন্তু সেই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পরবর্তী ধাপে ২০২২ সালের ১১ জুলাই যখন জাতীয় প্রতীক সিংহের ব্রোঞ্জের মূর্তির উদ্বোধন হয়, তখনও আমন্ত্রিতের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। যদিও সে সময়ও রাষ্ট্রপতির আসনে ছিলেন তফসিলি জনজাতি (দলিত) গোষ্ঠীর নেতা কোবিন্দ।