ফাইল চিত্র।
ফের অশান্তি লালু প্রসাদের সংসারে। গত মাসেই ‘ছাত্র জনশক্তি পরিষদ’ নামে আরজেডি-র নতুন ছাত্র সংগঠন গঠন করেছিলেন লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। বলেছিলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরির মতো বিষয় নিয়ে সরব হয়ে দলের অবস্থান মজবুত করবে তাঁর সংগঠন। গত কাল আচমকা তেজপ্রতাপ ঘোষণা করেছেন, বিহারের কুশেশ্বর অস্থান বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবেন তিনি ও তাঁর নয়া সংগঠন।
আগামী ৩০ অক্টোবর কুশেশ্বর অস্থানের পাশাপাশিই উপনির্বাচন হবে তারাপুর বিধানসভা আসনটিতে। সেই আসনে অবশ্য আরজেডি প্রার্থীর হয়েই তাঁরা প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন তেজপ্রতাপ। তিনি বলেছেন, ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ছাত্র জনশক্তি পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কুশেশ্বর অস্থানে কংগ্রেস প্রার্থী অতিরেক কুমার এবং তারাপুরে আরজেডি প্রার্থী অরুণ কুমারকে সমর্থন করা হবে। ছাত্র জনশক্তি পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রদের উচিত, দুই প্রার্থীর হয়েই জোরদার প্রচার করে তাঁদের জয় নিশ্চিত করা।’’
কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা তথা বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভাপতি অশোক কুমার সম্প্রতি তেজপ্রতাপের সঙ্গে দেখা করে ছেলের জন্য সমর্থন চেয়েছিলেন। তার পরেই তেজপ্রতাপের এই ঘোষণায় আরও এক বার অস্বস্তিতে পড়েছেন আরজেডি-র নেতা, তেজপ্রতাপের ভাই তেজস্বী যাদব। কারণ, জোট ভেঙে এই উপনির্বাচনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস ও আরজেডি। নির্বাচিত বিধায়ক হয়েও দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থনের এই সিদ্ধান্তের জেরে তেজপ্রতাপ শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
বহু দিন ধরেই তেজপ্রতাপ ও তেজস্বীর সম্পর্ক টালমাটাল। এক বার তেজপ্রতাপ অভিযোগ তুলেছিলেন, দিল্লিতে বন্দি করে রাখা হয়েছে লালুকে। ‘যারা সর্বভারতীয় সভাপতি হতে ইচ্ছুক’, তারাই এই কাজ করেছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর এই আক্রমণের লক্ষ্য তেজস্বী-শিবিরই ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। তেজস্বী যদিও পত্রপাঠ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘লালুজি বিসংবাদ সংস্থাহারের মুখ্যমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী ছিলেন। দু’জন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় এনেছিলেন তিনি। লালকৃষ্ণ আডবাণীকে গ্রেফতারও করেছিলেন। কাজেই বন্দি করে রাখার এই তত্ত্ব তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বেমানান।’’