Security Breach in Parliament

‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’-এর তথ্য জানতে মেটাকে চিঠি পুলিশের! নজরে সংসদে হানাদারদের ‘গুগল পে’-ও

তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের আলাপ হয়েছিল। সেখানেই সংসদ ভবনে হানা দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৯
Delhi Police talks to Meta to get access Facebook accounts of Parliament Security Breach accused

তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের আলাপ হয়েছিল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় ধৃত ছয় অভিযুক্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখেতে চান তদন্তকারীরা। দেখতে চান ফেসবুক পেজ ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ও। আর সেই কারণেই ফেসবুকের মূল সংস্থা ‘মেটা’কে চিঠি পাঠাল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের আলাপ হয়েছিল। সেখানে সংসদ ভবনে হানা দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পরে সেই অ্যাকাউন্টটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়। আর সেই কারণে ওই পেজের বিশদ জানতে চেয়ে মেটাকে চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

মেটার কাছে অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাঠানোর অনুরোধও তদন্তকারীরা করেছেন বলে সূত্রের খবর। সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে, পুলিশ অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত ইমেল অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা করছে।

১৩ ডিসেম্বর সংসদে রংবোমা নিয়ে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তেরা কোথাও থেকে টাকা পেয়েছিলেন কি না, তা খুঁজে বার করতে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশের অনেকগুলি দল রবিবার অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের কাছে থেকে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছে। অভিযুক্ত নীলম আজ়াদ এবং সাগর শর্মার পাসবুকগুলি হরিয়ানার জিন্দ এবং উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি দল মাইসুরুতে অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি-র বাড়িও যায়। মনোরঞ্জনের বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশি কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে কোনও ডিজিটাল লেনদেন হয়েছিল কি না, তা দেখতে ‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের কাছে ছিল রংবোমা। তা দিয়ে তাঁরা চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় নীলম এবং অমল শিন্ডেকে। এ ছাড়া, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ললিত ঝা এবং মহেশ কুনাওয়াত। তাঁদের সকলকেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন