শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে গোড়ায় ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট তৈরি করেছিল দিল্লি পুলিশ। তবে চূড়ান্ত চার্জশিট আড়েবহরে বেড়ে ৬,৬২৯ পাতায় দাঁড়িয়েছে। —ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে কী কারণে খুন করেছিলেন তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা? আফতাবের বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পাতার চার্জশিটে ‘সেই কারণ’ জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, ১৮ মে ঘটনার দিন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। যা মানতে পারেননি অভিযুক্ত আফতাব। সে কারণেই শ্রদ্ধাকে খুন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে গোড়ায় ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট তৈরি করেছিলেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। তবে চূড়ান্ত চার্জশিট আড়েবহরে বেড়ে ৬,৬২৯ পাতায় দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে শ্রদ্ধাকে খুনের উদ্দেশ্য জানাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সাদার্ন রেঞ্জ) মিনু চৌধরির দাবি, ১৮ মে ঘটনার দিন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শ্রদ্ধা। চৌধরির কথায়, ‘‘এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। তা নিয়ে অখুশি ছিলেন অভিযুক্ত আফতাব। শ্রদ্ধা ফ্ল্যাটে ফিরলে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও হয়। এর পর ওই রাতে শ্রদ্ধাকে খুনে করেন অভিযুক্ত। রাগের বশেই খুন বলে মনে করছি আমরা।’’
দিল্লির মেহরৌলি এলাকায় ছতরপুরের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে একত্রবাস করছিলেন শ্রদ্ধা এবং আফতাব। অভিযোগ, ওই ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন তিনি। এর পর দিন কয়েক ধরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে রাসায়নিক দিতে ধুয়েমুছে একটি ফ্রিজ়ে ভরে রাখেন। তদন্তকারীদের দাবি, শ্রদ্ধার দেহের পচন রুখতেই ওই রাসায়নিক ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। এমনকি, সে জন্যই বড়সড় ফ্রিজ় কিনেছিলেন তিনি।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে তদন্তে ৯টি দল গঠন করা হয়েছিল। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তদন্তকারীরা হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন। চৌধরি বলেন, ‘‘শ্রদ্ধার দেহাংশ সংগ্রহে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। তথ্যপ্রমাণের বিশ্লেযণ করতেও নানা প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছি আমরা।’’ এই তদন্তে মোট দেড়শো জনের বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা।
চার্জশিটে তদন্তকারীদের দাবি, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করতে মাংস কাটার চপার, করাত-সহ ৫ ধরনের বেশি ছুরি এবং নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিলেন আফতাব।