Delhi

Delhi lockdown: নজরে সংক্রমণ, পরিকাঠামো, তৃতীয় ঢেউ রুখতে চার রঙের সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করছে দিল্লি

দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার, নতুন সংক্রমণের সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে— তার ভিত্তি করেই জারি হবে কোভিডবিধি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২১ ২৩:০৪
ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

দিল্লিতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় চার-স্তরীয় ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ কার্যকর করল দিল্লি সরকার। আগামী দিনে দৈনিক সংক্রমণ কতটা বাড়ছে, তার নির্ভর করেই রাজ্যে কোভিডবিধি চালু করার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লির কেজরীবাল সরকার।

দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার, নতুন সংক্রমণের সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে— তার উপর নির্ভর করেই ওই চার-স্তরীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই চারটি স্তরকে চিহ্নিত করা হবে বিভিন্ন রং দিয়ে। রবিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে দিল্লির সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম স্তরকে বলা হবে হলুদ সতর্কতা। দিল্লিতে সংক্রমণের হার টানা দু’দিন ০.৫ শতাংশের বেশি হলে, সপ্তাহে দেড়় হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়লে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ৫০০ শয্যা পূর্ণ হলে জারি হবে ওই হলুদ সতর্কতা। সেই সময়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস ও মেট্রো। রাত ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নৈশ কার্ফু।

Advertisement

দ্বিতীয় স্তরের নাম দেওয়া হয়েছে পীতাভ( অ্যাম্বার) সতর্কতা। সংক্রমণের হার টানা দু’দিন এক শতাংশের বেশি হলে, সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়লে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ৭০০ শয্যা পূর্ণ হলে জারি হবে এই সতর্কতা। এই সময়ে জারি হবে সাপ্তাহিক কার্ফু। দোকান খোলা যাবে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৩৩ শতাংশ যাত্রী মেট্রো এবং ৫০ শতাংশ অনুমোদনপ্রাপ্ত যাত্রী নিয়ে চলবে বাস পরিষেবা। রেস্তরাঁ, পানশালা বন্ধ থাকলেও খোলা থাকবে হোটেল।

তৃতীয় স্তরের নাম দেওয়া হয়েছে গেরুয়া সতর্কতা। সংক্রমণের হার টানা দু’দিন দু’শতাংশের বেশি হলে, সপ্তাহে ন’হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়লে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে এক হাজার শয্যা পূর্ণ হলে জারি হবে এই সতর্কতা। এই সময়ে জারি হবে সাপ্তাহিক কার্ফু। জরুরি পরিযেবা বাদে বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে এই সময়ে। চলবে না মেট্রো। ৫০ শতাংশ অনুমোদনপ্রাপ্ত যাত্রী নিয়ে চলবে বাস পরিষেবা। নৈশ এবং সাপ্তাহিক কার্ফু জারি হবে।

চতুর্থ স্তরের নাম দেওয়া হয়েছে লাল সতর্কতা। সংক্রমণের হার টানা দু’দিন পাঁচ শতাংশের বেশি হলে, সপ্তাহে ১৬ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়লে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে তিন হাজার শয্যা পূর্ণ হলে জারি হবে এই সতর্কতা। এই সময়ে জারি হবে পূর্ণ লকডাউন।

Advertisement
আরও পড়ুন