ভোট বৈতরণী পার করা বেশ মুশকিল গেরুয়া শিবিরের। —প্রতীকী চিত্র।
সাত দিন বাদেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোটের এক সপ্তাহ আগে বিজেপির অভ্যন্তরীণ হিসাবনিকেশ বলছে, এ যাত্রাও ভোট বৈতরণী পার করা বেশ মুশকিল গেরুয়া শিবিরের।
আজ বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা, অমিত শাহ-সহ দিল্লির বিজেপি নেতারা একটি বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের মতে, তাতে কুড়িটি আসনেও জেতা মুশকিল বলে উঠে এসেছে। বিজেপি নেতাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, গতবারের চেয়ে এ বারে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হয়তো বাড়বে। কিন্তু এখনও জেতার মতো পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই নেই। আগামী সাত দিনে দিল্লিতে একাধিক সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাতে বিজেপির পালে হাওয়া কিছুটা হলেও তীব্র হবে এই আশা দলীয় নেতৃত্বের। সূত্রের মতে, দিল্লির লড়াইয়ে বিজেপির পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা
না করা। শাসক শিবির যেখানে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো শক্তিশালী ‘মুখ’কে মুখ্যমন্ত্রী করে লড়াইয়ে নেমেছে, সেখানে বিজেপি ভরসা প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা ভোটের সময়ে বিরোধীরা প্রচার চালিয়েছিলেন যে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরলে সংবিধান বদল করে ফেলবে। ওই প্রচার বিজেপির বিপক্ষে যায়। এ বারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে আপ নেতৃত্বের হাতিয়ার হল— বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুৎ, জল, মহিলাদের জন্য বিনা মূল্যে বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।
এই আবহে সমর্থন কুড়াতে কেজরীওয়াল ও তাঁর দলের দুর্নীতি, প্রতিশ্রুতি পালন না করতে পারার মতো বিষয়গুলি তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। আজ দিল্লির কস্তুরবা নগরে প্রচারে শাহ বলেন, ‘‘আপ দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের ফসল হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু এরা ক্ষমতায় এসে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছিল। মিথ্যার একটি বয়স থাকে। দিল্লির ক্ষেত্রে মিথ্যা দশ বছর পার করে ফেলেছে।’’