মেয়োনিজ় কি চুলের জন্য ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
বাজারচলতি প্রসাধনী যতই থাক অনেকেই রূপচর্চায়, কেশচর্চায় ঘরোয়া উপকরণ বেছে নেন। সব্জি থেকে তেল, ফুল, পাতা, ডিম— অনেক কিছুই থাকে সেই তালিকায়। ইদানীং কেউ কেউ চুলের প্যাক হিসাবে মেয়োনিজ়ও মাখেন। স্যান্ডউইচের পুরে মাংস বা ডিম সহযোগে মেয়োনিজ় খেতে দারুণ। প্রোটিন, ফ্যাট দুই-ই মেলে এতে। কিন্তু কেশচর্চায় আদৌ কার্যকর কি জিনিসটি?
মেয়োনিজ় কী দিয়ে তৈরি হয়?
মেয়োনিজ় আমিষ এবং নিরামিষ দুই ধরনের হয়। আমিষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ডিম, সাদা ভিনিগার, অলিভ অয়েল বা ভোজ্য তেল, কখনও আবার লেবুর রস।
ডিমে থাকে বায়োটিন, যা চুলের জন্য উপকারী। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। মেয়োনিজ়ে ব্যবহার হয় অলিভ অয়েল বা সাদা তেল। অলিভ অয়েলে মেলে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। চুলের যত্নে তেলের ব্যবহার বেশ পুরনো। ভিনিগার বা পাতিলেবুর রসও মাথার ত্বকে পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাতিলেবুতে থাকে ভিটামিন সি, যা চুলের জন্য উপকারী।
মেয়োনিজ়ে যে এই সমস্ত উপকরণের সব গুণ বজায় থাকে তা নয়, তবে প্রোটিন, ফ্যাটের উপস্থিতি মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে, চুল নরম রাখতে সাহায্য করে।
আদৌ কতটা উপকার হয় এতে?
চুলের বাড়বৃদ্ধিতে সরাসরি মেয়োনিজ়ের ভূমিকা রয়েছে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনও মেলেনি। তবে মেয়োনিজ় চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজে আসে। ডগা ফাটা, শুষ্ক চুলের পরিচর্যায় মেয়োনিজ় মাস্ক কার্যকর হতে পারে। মাথার ত্বককে গভীর ভাবে ময়েশ্চারাইজ় করতেও এই উপাদানটি সাহায্য করে। পাশাপাশি খুশকির মোকবিলায় এটি কার্যকর।
চুলের বৃদ্ধি: চুলের বৃদ্ধি নির্ভর করে পুষ্টি, মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য-সহ অনেক কিছুর উপরে। শারীরিক অসুস্থতা, হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলেও চুল ঝরা এবং বাড়বৃদ্ধিতে তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে অতিরিক্ত চুল ঝরার সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভাল।
কী ভাবে মাখবেন?
রুক্ষ চলের পরিচর্যায় মেয়োনিজ় মাখতে পারেন। পরিষ্কার ভিজে চুলে ভাল করে মেয়োনিজ় লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন, মিনিট ২০ রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। মাসে এক বা দু’বার ব্যবহারেই চুল হয়ে উঠবে সুন্দর এবং মসৃণ।