Arvind Kejriwal

‘ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন চাই না’, আবার কি কেজরীর নিশানায় মোদী?

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘এই বাচ্চাদের মধ্যেই কেউ আগামীর প্রধানমন্ত্রী। আমরা চাই না, ভবিষ্যতে কেউ ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে পড়ুক!’’

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:২৩
file image of Arvind Kejriwal

ভুয়ো ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলে কাকে কটাক্ষ করলেন কেজরীওয়াল? — ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিরোধীরা ডামাডোল কিছু কম করেনি। নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি দেখতে চেয়ে গুজরাতের আদালতে জরিমানার মুখে পড়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তার পরেও দিল্লির এক বিজেপি নেতার একটি টুইটকে তুলে ধরে ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে আবার কটাক্ষ ছুড়লেন তিনি। তবে ওই টুইটে কারও নাম করেননি তিনি।

দিল্লি বিজেপির নেতা হরিশ খুরানা কয়েকটি মার্কশিটের ছবি-সহ একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, প্রতি বছর নবম শ্রেণিতে ১ লক্ষাধিক শিশু অকৃতকার্য হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির সরকারি শিক্ষায় আমূল বদলের দাবি করে আপ। কেজরীওয়ালের দলের দাবি, দিল্লির সরকারি স্কুলে শিক্ষার মান যে স্তরের তা গোটা দেশে আর কোথাও নেই। আপের সেই দাবিতেই নস্যাৎ করতে গিয়ে হরিশ ওই মার্কশিটের ছবি দিয়ে কেজরীওয়ালকে বিঁধেছেন। তার জবাব দিতে গিয়ে কেজরীওয়াল লেখেন, ‘‘যদি কিছু বাচ্চা পড়াশোনায় ভাল না করতে পারে, তা হলে আমরা তাদের অতিরিক্ত ক্লাস করাব। এই বাচ্চাদের মধ্যেই কেউ আগামীর প্রধানমন্ত্রী। আমরা চাই না, ভবিষ্যতে কেউ ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে পড়ুক!’’

Advertisement

তবে এই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন বহু দিনের। সম্প্রতি গুজরাত হাই কোর্ট কেজরীওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। কেজরীওয়াল মোদীর ডিগ্রির প্রতিলিপি দেখতে চেয়েছিলেন। ২০১৬-এর সেই আবেদন মেনে চিফ ইনফরমেশন কমিশনার গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্জি মেনে নেয় এবং কেজরীওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

অতি সম্প্রতি জেলবন্দি আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া জেল থেকেই খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। সেখানেও মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রকৃত বিবরণ চাওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে ধোঁয়াশার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, আপের পদক্ষেপে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement