কিশোরী পরিচারিকাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গুরুগ্রামের দম্পতিকে। ছবি: সংগৃহীত।
কিশোরী পরিচারিকাকে মারধর এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গুরুগ্রামের দম্পতিকে। এ বার এই অভিযোগের কারণে চাকরি হারালেন ওই দম্পতি। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা। পরিচারিকাকে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই দম্পতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে সংস্থা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি টুইটারে ওই দম্পতিতে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
১৭ বছরের এক কিশোরী পরিচারিকাকে মারধর এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে উঠেছে গুরুগ্রামের নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা মণীশ খট্টর এবং তাঁর স্ত্রী কমলজিত কউরের বিরুদ্ধে। একটি নিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির ওই কিশোরীকে পরিচারিকা হিসাবে নিয়োগ করেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, ওই পরিচারিকাকে রোজ মারধর করা হত। এমনকী, তাকে শিকের ছ্যাঁকা দেওয়াও হত। কিশোরীর পোশাক খুলে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে খট্টরের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হত বলেও অভিযোগ।
এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার মুখ, হাত, পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪২, ৩৪ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকা খট্টর দাবি করেছেন, নিজের শিশুকন্যাকে দেখভালের জন্য ৫ মাস আগে ওই কিশোরীকে পরিচারিকা হিসাবে তিনি নিয়োগ করেছিলেন। কাজে ভুল করলে ওই কিশোরীকে মারধর করা হত বলে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ওই দম্পতি যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেই সংস্থা তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। একটি জনসংযোগ সংস্থায় কাজ করতেন খট্টরের স্ত্রী। একটি বিমা সংস্থায় কাজ করতেন খট্টর। কিশোরীকে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ওই দম্পতিকে ছাঁটাই করা হয়েছে।