এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ফের যুগলকে হেনস্থা ও মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের রীবায়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছে পুলিশ। যুগলকে শনাক্ত করার পাশাপাশি শুরু হয়েছে অপরাধীদের খোঁজ।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক নির্জন এলাকায় আলিঙ্গনরত এক যুগলকে ঘিরে ধরে হেনস্থা করছেন এক দল যুবক (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। টাকা চেয়ে মারধর করা হচ্ছে তাঁদের। ভিডিয়োয় মহিলার শ্লীলতাহানি করতেও দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও ভিডিয়োর ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ভিডিয়োতে যে জায়গাটি দেখা যাচ্ছে, সেটি সম্ভবত পূর্বা জলপ্রপাত বা কিয়োতি জলপ্রপাতের কাছাকাছি কোনও বনাঞ্চল। রীবার পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। পাশাপাশি, আমরা সক্রিয় ভাবে আক্রান্ত যুগলেরও খোঁজ করছি। তাঁদেরকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আপাতত অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পৃথক পৃথক দল গঠন করে তদন্তে নেমেছে সেমারিয়া, সিরমোর, বৈকুণ্ঠপুর-সহ বিভিন্ন থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে এই রীবাতেই স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রীবার একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন নবদম্পতি। সেই সময় জনা পাঁচেক যুবক তাঁদের কাছে এসে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। তার পর পাঁচ জন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিয়োও করেন অভিযুক্তেরা। ওই ঘটনার মাস দুয়েকের মধ্যেই ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল রীবায়।