(বাঁ দিকে) বিধায়ক-পুত্র আনস খান। আপ বিধায়ক আমনতুল্লা খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির রাস্তায় রাতের অন্ধকারে ভুল লেনে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাচ্ছিলেন দুই যুবক! রাস্তায় টহল দিচ্ছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁরা ধরতেই এক যুবক বলে ওঠেন, ‘‘জানেন আমার বাবা কে?’’ সেখানেই শেষ নয়, পুলিশ জরিমানা করতে গেলে ফোনে ধরিয়ে দেন বাবাকে। শেষ পর্যন্ত আপ বিধায়ক আমানতুল্লা খানের পুত্র আনস খানের বাইক বাজেয়াপ্ত করল দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও ওই বিধায়কের পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর রুজু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায় রাতে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সে সময় ভুল লেন ধরে ‘জ়িগজ়্যাগ’ করে ছুটছিল একটি বাইক। পুলিশ বাইকটি আটকে চালকের লাইসেন্স দেখতে চান। তখনই তিনি দাবি করেন যে, তাঁর বাবা আপ বিধায়ক আমানতুল্লা। পুলিশের দাবি, ওই যুবক লাইসেন্স দেখাতেও অস্বীকার করেন। পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের কুকথা বলেন। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ জরিমানা চাইলে ওই যুবক আমানতুল্লাকে ফোনে ধরিয়ে দেন। ফোনের ও পার থেকে আপ বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এ বার আমাকেও গ্রেফতার করুন।’’
এর পরে পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) বাইকটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও আনসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নয়ডার একটি পেট্রল পাম্পে আপ বিধায়ক আমানতুল্লা এবং তাঁর ছেলে আনস কর্মীদের হেনস্থা করেন। তাঁদের মারধরও করেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)।