প্রতীকী ছবি।
খাবার পরিবেশন করছিল কয়েক জন দলিত ছাত্রী। অভিযোগ, তাঁদের হাত থেকে মিড-ডে মিল নিয়ে খেতে অন্য পড়ুয়াদের বাধা দিয়েছিলেন ওই স্কুলেরই রাঁধুনি। এই ঘটনার জেরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজস্থানের উদয়পুরে। অভিযুক্ত রাঁধুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উদয়পুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দলিত ছাত্রী শুক্রবার বারোদি এলাকার একটি সরকারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাধুঁনি লালারাম গুর্জ্জরের রান্না করা মিড-ডে মিল পরিবেশন করছিলেন। সে সময় লালারাম ওই পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খেতে বারণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। লালারামের নির্দেশে পড়ুয়ারা খাবার ফেলে দেয়।
এর পর ওই দলিত ছাত্রীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা জানালে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। রাঁধুনির বিরুদ্ধে স্থানীয় গোগুন্ডা থানায় তফসিলি (এসসি-এসটি) নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরেই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ‘উচ্চবর্ণের’ কয়েক জন পড়ুয়াকে খাদ্য পরিবেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় স্কুলের এক শিক্ষক দলিত পড়ুয়াদের খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিম্নবর্ণের প্রতি অসদাচরণের অভিযোগ রাজস্থানে নতুন নয়। সপ্তাহ দু’য়েক আগেই পানীয় জলের পাত্র ছোঁয়ায় ন’বছরের এক দলিত ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল রাজস্থানের জালোর জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।