(বাঁ দিক থেকে) সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঠেকাতে অবিলম্বে অস্ত্রসংবরণ করা উচিত প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইজ়রায়েলি সেনার। সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই মর্মে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি, টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে ইজ়রায়েলি সেনার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানহানায় বিধ্বস্ত, অবরুদ্ধ গাজ়া ভূখণ্ডের নাগরিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ভারসাম্যের নীতি থেকে সরে এসে শনিবার প্রকাশ্যে ইজ়রায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজ়া ভূখণ্ডে সর্বাত্মক সেনা অভিযান ঘোষণা করে প্যালেস্তেনীয়দের ওই এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার পরে মোদী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ইজ়রায়েলের উপর জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি বিস্মিত। নিরীহ যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল। এই কঠিন সময়ে আমরা ইজ়রায়েলের পাশে আছি।”
রবিবার কংগ্রেসের তরফেও ইজ়রায়েলি আমজনতার উপর হামাসের রয়েট হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর গাজ়ায় প্যালেস্তেনীয় শরণার্থী শিবির, হাসপাতালের মতো অসামরিক এলাকায় ইজ়রায়েলি বোমাবর্ষণ ‘প্রেক্ষপটে’ অনেকটাই বদল এনেছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ সোমবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের দাবি ন্যায্য বলেই আমরা মনে করি। কংগ্রেস চায় আলোচনার মাধ্যমে প্যালেস্তেনীয় আমজনতার সেই বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক।’’
প্রসঙ্গত, অতীতে নেতানিয়াহু সরকারের বদন্যতায় পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী পক্ষের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী, বিচারপতির ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। ভারত-সহ প্রায় ৩০টি দেশের নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে ইজ়রায়েলের সংস্থা টিম হোর্হের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিজেপি এবং মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির। গাজ়ায় ‘মোদী-মিত্র’ নেতানিয়াহুর বাহিনীর আগ্রাসন আবার মতপার্থক্য তৈরি করল ভারতীয় রাজনীতিতে।