Congress worker hacked to death

মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় বোল্ডারের ঘা, তাড়া করে ধরে কোপ! বেঙ্গালুরুতে খুন কংগ্রেসকর্মী

মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় বোল্ডার দিয়ে আঘাত করেন। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে চম্পট। সেখানেই মৃত্যু হয় রবির। পরে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ১২:২০
representational image

বেঙ্গালুরুতে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক কংগ্রেসকর্মী। — প্রতীকী ছবি।

বেঙ্গালুরুতে খুন হয়ে গেলেন এক কংগ্রেসকর্মী। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে ৩৮ বছরের রবি কুমার ওরফে মাট্টি রবিকে ঘিরে ধরেন পাঁচ-ছ’জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। রবি পালানোর চেষ্টা করলে তাড়া করে আবার তাঁকে ধরে ফেলা হয়। তার পর কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় কংগ্রেসকর্মীকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রবির মাথায় বোল্ডার দিয়ে আঘাত করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সতীর্থ এক কংগ্রেসকর্মীর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রবি। রাতে সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে এই ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথেই কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ঘিরে ধরেন রবিকে। বিপদ বুঝতে পেরে রবি বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। তার পর শুরু হয় পর পর কোপ। রবি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও আঘাতের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। রবির মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় বড় একটি বোল্ডার দিয়ে আঘাত করেন। কংগ্রেসকর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। সেখানেই মৃত্যু হয় রবির। পরে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গাড়ি চালক হিসাবে কাজ করতেন রবি, এর পাশাপাশি তাঁর ভেড়ার ব্যবসাও ছিল। যে এলাকা দিয়ে রবি বাড়ি ফিরছিলেন তা একে বারেই তাঁর নিজের এলাকা। সেখানে রবির মুখচ্ছবি দেওয়া পোস্টার এখনও ঝুলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিকে খুনের আগেই দুষ্কৃতীরা রাস্তার ধারে লাগানো সেই সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। তার পর রবি আসছেন দেখতে পেয়েই হামলা।

ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিশেষ দল গঠন করে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। রাজনৈতিক কোনও গোলমাল না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা— খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। তবে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement