কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
গত বছর ছিল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। আগামী বছর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় দফার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি হবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। কংগ্রেস সূত্রে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে শুরু হবে ওই যাত্রা।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুলের দ্বিতীয় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা ২.০’ পুরোপুরি পায়ে হেঁটে হবে না। কিছুটা পায়ে হাঁটা, কিছুটা গাড়িতে যাত্রা হবে। হবে ছোট-ব়়ড় জনসভা। বিশেষ গুরুত্ব পাবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য। দ্বিতীয় দফার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র আগেই অবশ্য মহারাষ্ট্রে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সদর দফতর যে শহরে, সেই নাগপুরেই হবে ‘হ্যায় তৈয়ার হাম’ (আমরা প্রস্তুত) শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের ওই কর্মসূচি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। সে দিনই নাগপুরে জনসভা করতে চলেছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে রাহুল, সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা— গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই নাগপুরের জনসভায় হাজির হবেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সমস্ত সদস্য, মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় দলনেতারাও নাগপুরের জনসভায় যোগ দেবেন। মঙ্গলবার ওই সভার আয়োজনের জন্য ন’জন সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ওই জনসভা থেকেই রাহুল কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হঠানোর ডাক দিতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ১৯২০ সালে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশন থেকেই মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন। তাই নাগপুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কংগ্রেসের কাছে।