Congress

Congress: নতুন নেতার পথ ছেড়ে দিন গাঁধীরা, কপিল সিব্বলের মন্তব্যে বিতর্ক কংগ্রেসের অন্দরে

গত বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পরে গুলাম নবি আজাদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর (জি-২৩ নামে পরিচিত) নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ২২:২১
কপিল সিব্বল।

কপিল সিব্বল। ফাইল চিত্র।

পাঁচ রাজ্যে ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরেই দলের অন্দরে গাঁধী পরিবারের প্রতি বিক্ষুব্ধরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁদেরই অন্যতম কপিল সিব্বল এ বার সরাসরি দলের নেতৃত্ব থেকে গাঁধী পরিবারের সদস্যদের সরে যাওয়ার দাবি তুললেন। একটি সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের আইনজীবী-নেতার মন্তব্য, ‘‘এ বার গাঁধীদের নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে অন্যদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’’

গত বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পরে গুলাম নবি আজাদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর (জি-২৩ নামে পরিচিত) নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল গাঁধী যদি নিজে সভাপতি না হয়ে তাঁর কোনও ‘হাতের পুতুল’-কে শীর্ষপদে বসিয়ে এখনকার মতোই পিছন থেকে দল চালাতে চান, তা হলে তার বিরোধিতা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে এ বার সিব্বল সরাসরি নিশানা করলেন গাঁধী পরিবারকে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘দলের ডি-ফ্যাক্টো সভাপতি হিসেবে সব সিদ্ধান্ত রাহুলই নেন।’’ এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, দলের সভাপতি না হয়েও রাহুল পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে তুলে ধরে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি, কার্যত কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের অবসান চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘরের (পরিবারের) কংগ্রেস নয়, সকলের কংগ্রেস হতে হবে আমাদের।’’

সিব্বলের মন্তব্যের পরেই তাঁকে নিশানা করেন গাঁধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মণিকম টেগোর বলেন, ‘‘বিজেপি এবং আরএসএস-এর ভাষায় কথা বলছেন সিব্বল। বিজেপি এবং আরএসএস গাঁধী পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরাতে চায়। সিব্বলও তাই চেয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement