গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের বিধবা কলাবতী বান্দুরকর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে লোকসভায় স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনল কংগ্রেস। লোকসভায় দলের চিফ হুইপ মানিকম টোগোর বৃহস্পতিবার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছেন। টুইটারে সে কথা জানিয়েছেন টোগোর। শুক্রবারই বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। কংগ্রেসের নোটিসের বিষয়ে সে দিনই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন স্পিকার।
২০০৮ সালে লোকসভায় রাহুলের বক্তৃতায় উল্লিখিত কলাবতীর প্রসঙ্গ বুধবার এসেছিল অনাস্থা বিতর্কে ‘শাহি ভাষণে’। রাহুলের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘ওই সাংসদ বুন্দেলখণ্ডের এক দরিদ্র মহিলার বাড়িতে গেলেন। সেই মহিলার নাম কলাবতী। সাংসদ তাঁর বাড়িতে খেলেন। তার পর সংসদে এসে তাঁর দুরবস্থার কথা তুলে ধরলেন। কিন্তু তার পর জানেন কী হল? এই ঘটনার পর আরও চার বছর তাঁর সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কলাবতীর কোনও উন্নতি হয়নি। সেই কলাবতীকে পাকা বাড়ি, শৌচালয়, কম মূল্যে রান্নার গ্যাস আর বিনা পয়সায় রেশন কারা দিয়েছে শুনবেন? মোদী সরকার দিয়েছেন। আর অদ্ভুত ভাবে সে দিন ওই সাংসদ যে কলাবতীর দুঃখের কথা বলেছিলেন, সেই কলাবতী এখন এই মোদী সরকারকেই সমর্থন করেন।’’
যদিও উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশ সীমানার বুন্দেলখণ্ড নয়, কলাবতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী ছিলেন পেশায় কৃষক। কিন্তু ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে ২০০৫ সালে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি হলে গ্রামীণ ভারতে কী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা যাবে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল ২০০৮ সালে সংসদে কলাবতীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘জীবনভর উনি বিদ্যুৎহীন বাড়িতে রয়েছেন।’’
কংগ্রেস সাংসদ টোগোরের অভিযোগ কলাবতীকে কংগ্রেস সাহায্য করেনি বলে শাহ যে অভিযোগ তুলেছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা। বক্তব্যের সমর্থনে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। যাতে বিদর্ভের ওই কৃষক রমণী জানাচ্ছেন, রাহুল তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন। বৃহস্পতিবার টোগোরের মন্তব্য, ‘‘অসত্য কথা বলে সভাকে বিভ্রান্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছি আমি।’’