পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ফাইল ছবি।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক তদন্ত করে দেখবে, সত্যিই মত্ত থাকার কারণে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে ফ্রাঙ্কফুর্টে নামিয়ে দেওয়া হয়েছি কি না। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘এটা বিদেশের মাটির ঘটনা। আমাদের তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। লুফৎহানসাকে আমাদের তথ্য সরবরাহ করতে হবে। আমার কাছে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে, তা নিশ্চিত ভাবে তদন্ত করে দেখব।’’
সোমবার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী একটি লুফৎহানসার বিমানের উড়ানে বিলম্ব হয়। কারণ হিসেবে শোনা যায়, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মানকে মত্ত অবস্থায় থাকার কারণে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
জার্মানির বিমান সংস্থাটি পরে বিবৃতি জারি করে। তাতে অবশ্য এই ঘটনার কথা কিছুই লেখা ছিল না। যদিও তাতে রাজনৈতিক সুনামি কমেনি। অকালি দল ও পঞ্জাব কংগ্রেস অভিযোগ করে, মান এতই মত্ত অবস্থায় ছিলেন যে, তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয় লুফৎহানসা। এই কারণেই বিমানের পৌঁছতে চার ঘণ্টা দেরি হয়।
যদিও, আম আদমি পার্টি (আপ) মুখপাত্র মলবিন্দ্র সিংহ কাং বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করতেই এই সমস্ত মিথ্যে ছড়ানো হচ্ছে।
এ বার এ বিষয়ে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। যা নিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতির জল আরও ঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।