Cheetah

কুনোর জঙ্গলে চিতাদের পাহারা দিচ্ছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথ! দুই হাতির তদারকিতে খোশমেজাজে ‘অতিথি’রা

হাতি দু’টির নাম লক্ষ্মী এবং সিদ্ধনাথ। নর্মদাপুরমের সাতপুরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে তাদের কুনোতে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসে। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে তাদের।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬
চিতাদের দায়িত্বে দুই হাতি।

চিতাদের দায়িত্বে দুই হাতি। —ফাইল ছবি

নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলিকে পাহারা দিতে মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে আনা হয়েছে দু’টি হাতি। দিনরাত ভিন্‌দেশি চিতাদের কড়া নজরে রেখেছে তারা। জঙ্গলের চিতাবাঘরা যাতে কোনও ভাবেই এই চিতাদের ধারেকাছে না ঘেঁষতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে হাতিরা।

জানা গিয়েছে, হাতি দু’টির নাম লক্ষ্মী এবং সিদ্ধনাথ। নর্মদাপুরমের সাতপুরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে ঢুকে পড়েছিল পাঁচটি চিতাবাঘ। তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথের তাড়া খেয়েই পালিয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘগুলি। এখন তারা দিনরাত কুনোর জঙ্গলে পাহারা দিচ্ছে চিতাদের।

কুনো জাতীয় উদ্যানের একটি বিশেষ এলাকায় আট চিতাকে কিছু দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাদের নিরাপত্তার জন্য বহাল হয়েছে দুই হাতি। তাদের কাছে যাতে অন্য কোনও বন্য প্রাণী এখন ঘেঁষতে না পারে, তা-ও নজরে রাখা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, সিদ্ধনাথ নামক হাতিটির বয়স ৩০ বছর। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির। তবে কাজের দক্ষতায় তার জুড়ি মেলা ভার, জানাচ্ছেন বনকর্মীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement