মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত ভোটে জিতল কে? ফাইল ছবি।
শিবসেনার শিন্ডে শিবির এবং ঠাকরে শিবির— মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত ভোটে দু’পক্ষই একে অপরকে হারানোর দাবি করেছে। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস দাবি করেছেন, তাঁর দলই রাজ্যের এক নম্বর দল হিসাবে উঠে এসেছে। এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের দাবি, মহাবিকাশ আঘাডীই সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। সব মিলিয়ে, মহারাষ্ট্রের ৫৪৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে কে জিতছে, আর কে হারছে, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না।
মহারাষ্ট্রের ১৬ জেলার ৫৪৭টি পঞ্চায়েত আসনে ভোট হয় গত রবিবার। সোমবার ভোট গণনা। সোমবার রাত থেকেই যুযুধান রাজনৈতিক দল নিজের নিজের জয়ের দাবি করে যাচ্ছেন। যদিও এই ভোটে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বের কোনও সুযোগ নেই।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে দাবি করছেন, তাঁর দলের সমর্থিত ২৫৯ জন প্রার্থী এবং শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের সমর্থনে ৪০ জন প্রার্থী সরপঞ্চ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের এই ফলাফল আজ আবার নিশ্চিত করে দিল, মহারাষ্ট্রবাসীর বিশ্বাস, ভরসা রয়েছে শিন্ডে-ফডণবীস সরকারের সঙ্গেই।’’
বিরোধী মহাবিকাশ আঘাডীতে রয়েছে শিবসেনার ঠাকরে শিবির, শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেস। তাঁরা আবার অন্য হিসাব দিচ্ছেন। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত ৪৯৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরিয়েছে। আঘাডী নেতাদের দাবি, তার মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১৪৪টি আসন, এনসিপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১২৬টি। কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২টি আসন এবং শিন্ডে সেনা সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ৪১টি আসন। যেখানে ঠাকরে শিবিরের ঝুলিতে এসেছে ৩৭টি আসন।
বিরোধীদের দাবি, ৪৯৪টি আসনের মধ্যে তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ২২৫টি আসন। অন্য দিকে, বিজেপি-শিন্ডে জোট সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১৮৫টি আসন।
অজিত পওয়ার বলেন, ‘‘কয়েক জন আবার দাবি করছেন, আমরাই এক নম্বর। বাস্তব হল, এই ভোট রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় লড়া যায় না। এ বার কোনও সরপঞ্চ যদি লিখিত ভাবে জানান যে, তিনি কোনও দলকে সমর্থন করছেন, তাহলে অন্য বিষয়। যদিও এখনও পর্যন্ত যে নম্বর দেখা যাচ্ছে, তাকে মহাবিকাশ আঘাডী সর্বাধিক আসনে জয় পেয়েছে।’’