ফের সামরিক মহড়া ভারত-আমেরিকার। ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখে টানাপড়েন এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডে চিন সীমান্তের কাছে যৌথ মহড়ায় উদ্যোগী হল ভারত ও আমেরিকার সেনাবাহিনী। আর তা নিয়েই ক্রুদ্ধ শি জিনপিং সরকার। আগামী অক্টোবরে উত্তরাখণ্ডের আউলি এলাকায় দু’দেশের সেনার ‘যুদ্ধ অভ্যাস ২০২২’ মহড়া হবে। আর তা নিয়েই এ বার সুর চড়িয়েছে বেজিং। চিনা বিদেশ দফতরের দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকায় নয়াদিল্লির এমন সেনা মহড়ার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পরিপন্থী।
উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে ভারত-আমেরিকা যৌথ সেনা মহড়ার উদ্যোগ নিয়ে চলতি মাসের গোড়ায় আপত্তি জানিয়েছিল চিন। কিন্তু বেজিংয়ের সেই চাপ উড়িয়ে এ বার সিদ্ধান্তে অটল থাকে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আউলির ওই এলাকার অবস্থান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা দূরে। ফলে দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত সমঝোতা সংক্রান্ত প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এই পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার রাতে ফের সুর চড়িয়েছে বেজিং। সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল ট্যান কেফেই বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা এই পদক্ষেপের (যৌথ মহড়া) তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন দক্ষিণ চিন সাগরের অদূরে আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ার পরে চিনের স্থলসীমার গা ঘেঁষেও যে ভাবে ভারত ও আমেরিকার বাহিনী হাত মিলিয়ে কাজ করতে শুরু করছে, তা নিয়ে চাপ বেড়েছে বেজিংয়ের উপর।